চট্টগ্রামে নিরুত্তাপ ভোটে নৌকার জয়, ভোট পড়েছে মোটে ১১ শতাংশ

প্রতি ১০০ জনে ৮৮ জনই ভোট দেননি

কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ঘটেনি কোনো সংঘষের ঘটনা। ১৫৬ কেন্দ্রের ১৫৫টিতেই এগিয়ে আছেন নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। আর মাত্র একটি কেন্দ্রের ফলাফল এলেই বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হবে তিনি।

১৫৫ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬৯৯ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকে দীপক কুমার পালিত পেয়েছেন ১ হাজার ২২৬ ভোট, রকেট প্রতীকের মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া ৩৬৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলুন প্রতীকের মো. আরমান আলী ৪৭৭ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. সামশুল আলম ১ হাজার ৫৬৯ ভোট ও ছড়ি প্রতীকের রশিদ মিয়া পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট।

এর আগে রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে ভোটগ্রহণ।

এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা না করলেও ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল দেখে নৌকার নেতাকর্মীরা নিজের প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

এই আসনের মহব্বত আলী সিটি কর্পোরেশান উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১৩৮ টি ভোটের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ৫৮১টি। এর মধ্যে শুধু নৌকাতেই ভোট পড়েছে ৫৪১ টি, বাকি ৪০ ভোট পেয়েছে বাকি পাঁচ প্রার্থী।
একই ওয়ার্ডের শহীদ লে. জি.এম মুশফিক বীর উত্তর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫২১টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে শুধু ৪১৩টি। এর মধ্যে নৌকার ৩৮৩ ও বাকি পাঁচ প্রার্থীর বক্সে ৩০টি। এমন চিত্র প্রায় সকল কেন্দ্রেই।

ভোট চলাকালীন একাধিক কেন্দ্রে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে ভোটার থেকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি। কেন্দ্রের ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও সময় কাঁটিয়েছেন হেলেদুলে। এমনকি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও প্রার্থীদের কেন্দ্রমুখি করতে পারেননি প্রার্থীরা।

এদিকে চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে মসজিদে মাইকিং করে মিলেনি ভোটার। উপনির্বাচনে আগ্রহ না থাকায় অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ফাঁকা ছিল৷ সাধারণ মানুষকে ডেকেও ভোট কেন্দ্রে আনা সম্ভব হয়নি।

উপনির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে কেন্দ্রের সামনে সাধারণ মানুষের নির্বাচন দেখার ভিড় থাকলেও ভোট দিতে অনীহা ছিল অধিকাংশের।

এদিকে সবকটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট, কর্মীদের সংখ্যা দেখা গেছে ভোটারদের তুলনায় বেশি৷

পাঁচ প্রার্থীর অংশগ্রহণে নির্বাচন হলেও সরব দেখা গেছে শুধু নৌকা প্রতীকের কর্মী ও এজেন্টদের৷ অধিকাংশ কেন্দ্রে নেই বাকি ৪ প্রার্থীর কর্মী, পোলিং এজেন্ট৷

সকালে কিছুসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেলেও বেলা গড়াতেই ভোটার শূন্য চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপনির্বাচনের কেন্দ্রগুলো। অধিকাংশ কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তা এবং এজেন্টরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে এটিও জানেনা অনেকে। অনেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যতিত কাউকে চেনেনা। ফলে ভোট দিতে যাননি এমন খবরও শোনা গেছে।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!