প্রতিদিন রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা ঘাটফরহাদবেগ এলাকার হাজী কলোনীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে কাঁচা ও সেমিপাকা মিলে অন্তত ২৫ বসতঘর।
আজ রবিবার সকাল ৭টার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের ৯টি গাড়ি প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সর্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন জানান, সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা ও নন্দনকানন ইউনিটের নয়টি গাড়ি। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর সকাল পৌনে নয়টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল, তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা যাচ্ছে না। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ফায়ার সার্ভিস তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হবে তাদের তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে প্রতিবেশী আবু বকরের বাড়ির পাশের ময়লার স্তূপ থেকে। মুহুত্বের মধ্যে আগুন হাজী কলোনীর চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। এলাকাটির রাস্তাঘাট সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ডুকতেও অনেক বেগ পেতে হয়।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে সহযোগীতা না করে উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণেও আগুন নেভাতে অনেক দেরী হয় অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফলে এর মধ্যেই পুড়ে গেছে হাজী কলোনির ২০ থেকে ২৫টি আধা পাকা ও সেমিপাকা ঘর। যেখানে বসবাস করত অধিকাংশই স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবি।
তাদের স্বল্প পুজি, বাসায় থাকা জমানো সামান্য টাকা পয়সাসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সবাই এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
রিপোর্ট : রাজীব প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::