গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় ২ যুবককে কোপাল মাদকাসক্ত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় খেলার মাঠে মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় মাদকাসক্ত যুবকের ক্ষুরের আঘাতে কলেজ ছাত্রসহ দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড হিন্দুপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ওই এলাকার কাজল মজুমদারের ছেলে সুজন মজুমদার (২০) ও ঝুন্টু মজুমদারের ছেলে রিমন মজুমদার (১৯)। আহতদের দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। আহত রিমন এই বছর এইচএসসি পাস করেছেন।

অভিযুক্ত খোকন জলদাস একই এলাকার বনমালী জলদাসের ছেলে।

আহত সুজন মজুমদার বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকাল বেলা সহপাঠীরা মিলে হরি মন্দিরের পাশের বিলে ক্রিকেট খেলছিলাম। এক সময় খোকন মাঠের পাশে বসে গাঁজা সেবন করছিল। তাকে নিষেধের পর না শুনলে ধাক্কা দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিই। এরপর রাত ১০টার দিকে মৌলভীর দোকান থেকে আমার চাচাতো ভাইসহ বাড়ি ফেরার পথে খোকন আমাদের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আমাদের শোর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এলাকায় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আমরা মাদক বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। খোকনকে নিষেধ করলেও সে শোনেনি, উল্টো প্রতিবাদকারীদের দেখে নেওয়ার অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল।’

অভিযুক্ত খোকন জলদাস এলাকা থেকে পলিয়ে গেছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ।

এই ব্যাপারে খোকনের বড় বোন সেতু জলদাস বলেন, ‘আমার ভাই ও তার কয়েকজন সঙ্গী মিলে হরি মন্দিরের পাশের বিলে মোবাইল ফোনে ছক্কা খেলছিল। এই সময় তারা মদপান করে এসে আমার ভাইকে মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে সে (ভাই) নিজে বাঁচার জন্য ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে। আঘাতটি আসলে বড় নয়, বিষয়টি তারা বড় করতে চাচ্ছে।’

স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অধীর দাশ বলেন, ‘হামলাকারী খোকন সেলুনের দোকানের পাশাপাশি মাদকসেবন ও বিক্রির কাজে জড়িত। তার বাবাও গাঁজা বিক্রি করে।’

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এই ঘটনায় আহত যুবক সুজন মজুমদার বাদি হয়ে আজ সোমবার দুপুরে তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!