খুলশীতে দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী আমবাগান এলাকায় দোকান ভাঙচুর এবং মালামাল লুটের ঘটনায় মাদক ও অস্ত্রসহ আরো সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ১৭ জন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন জনি ওরফে মধু (২৩), মো. মহিদুল ইসলাম (৩৭), মো. জুয়েল (২২), বিজয় কুমার (২০), মো. পারভেজ (১৯), মো. মিনহাজ (১৯) এবং মো. সোহাগ (২১)। এরা সবাই খুলশী থানা এলাকার বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ভোরে খুলশীর আমবাগান এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিদের মধ্যে জনি ওরফে মধু ও বিজয়ের স্বীকারোক্তি অনুসারে নগরীর আমবাগান রেলওয়ে কলোনি থেকে মামলা পলাতক আসামি আলমগীর ও তার বোন তানিয়ার বাসা থেকে এক কেজি গাঁজা, দু’টি কিরিচ, দু’টি চাপাতি, একটি লোহা কাটার করাত ও একটি তালা ভাঙার কোরাবারি উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। দুই ভাই-বোন ১৫ দিন পালা ভাগ করে এলাকায় মাদক বিক্রি করতো বলে জানায় স্থানীয়রা।

থানার সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ রাত ১১টার দিকে খুলশী থানার আমবাগান সংলগ্ন রেললাইন ও সিগন্যাল এলাকার অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন নারী-পুরুষ লাঠিসোটা, কিরিচ নিয়ে ডবলমুরিং থানার ঝর্নাপাড়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন দোকানপাট ভাঙচুর করে। এছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল বিভিন্ন দোকান থেকে লুট করে। এলাকার লোকজনকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে হামলাকারীরা। পরে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়।

গত ৪ মার্চ ডবলমুরিং মডেল থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. হানিফ ওরফে দারোয়ান হানিফ (৪৫), মো. আলমগীর (২৯), আলাউদ্দিন আলো (৩০) এবং রহিমা বেগমকে (৩০) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

এরপর ৭ মার্চ সদরঘাট থানার কদমতলী এলাকা অভিযান চালিয়ে তানিয়া বেগম (৩০), তাহমিনা বেগম (২১) এবং আকবরশাহ থানার সিটি গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেনু বেগম (৫০), রিনা বেগম (৪২), মো. জাহাঙ্গীর (১৯), মো. তোফাজ্জল হোসনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!