‘কিশোর গ্যাং’ লিডারের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন

‘কিশোর গ্যাং’ লিডারের ছুরিকাঘাতে সাতকানিয়ায় কলেজ ছাত্র খুন হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী নিহত এই কলেজছাত্রের নাম সাবেদুল ইসলাম সাজ্জাদ। ছুরিকাঘাতের পর ঘাতক কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপ লিডার রবিউল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের বিওসির মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড বারুদখানা এলাকার কফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সাতকানিয়া উপজেলার জাফর আহমদ চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, নিহত সাবেদুল ইসলামের সঙ্গে কিশোর গ্যাং লিডার ঘাতক রবি ইসলামের (১৮) সিনিয়র-জুনিয়র হওয়ায় নাম ধরে ডাকার কারণে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করে ঘাতক রবি পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা সাবেদুলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে পটিয়া এলাকায় পৌঁছলে মারা যান তিনি।

এদিকে নিহত সাজ্জাদের ভাই হৃদয় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রবি আর তার আপন ভাই শফিকুল ইসলাম মিলে আমার ভাইকে ছুরি মেরে হত্যা করেছে। রবি বেয়াদব টাইপের ছেলে। সে সাজ্জাদের নাম ধরে ডাকলে সাজ্জাদ সিনিয়রটি মেইনটেইন করতে বলায় তাকে ছুরিকাহত করে হত্যা করে।

তিনি বলেন, রবিউল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বখাটে একটি কিশোর গ্রুপের দলনেতা হিসেবে অপকর্ম চালাচ্ছে। তার গ্রুপে প্রায় ২৫/৩০ জন বখাটে কিশোর থাকায় ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতো না।

তবে রবিউল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারী বলে স্থানীয়রা জানালেও তাদের মা শাহানা আক্তারের দাবি তার দুই ছেলে বিওসির মোড়ে তরকারির ব্যবসা করে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসনে বলেন, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় সাজ্জাদকে চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে পটিয়ায় মারা যায় সে। তার লাশ চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমি এখন আসামির বাড়িতে আছি। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!