কালবৈশাখীর ঝড়ে রাঙ্গুনিয়ায় লণ্ডভণ্ড ধানক্ষেত, কাঁচাঘর

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ফসল ও বসতঘর। এছাড়াও ইটভাটায়ও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে শুরু হওয়া কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপজেলায়।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরদিক থেকে প্রচণ্ড বেগে বাতাস ও শিলা বৃষ্টিতে উপজেলার রাজানগর, ইসলামপুর, হোচনাবাদ, লালানগরসহ চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডারখ্যাত ঘুমাইবিল ইউনিয়নে আঘাত হানে। এতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও ইটভাটা ও ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে গলে ভেসে গেছে। এতে ২০- ২২ কোটি টাকার মত ক্ষতি গুণতে হবে বলে জানিয়েছেন ইটভাটার মালিকেরা। সবজি ক্ষেতসহ উপজেলার কয়েক’শ হেক্টর জমির ইরি ও বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

ইটভাটা মালিক সমিতির সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ আসা কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ইসলামপুর, রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর লালানগর, হোছনাবাদ, কোদালা, ও পোমরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত শতাধিক ইটভাটায় পোড়ানোর অপেক্ষায় তৈরি কার প্রায় ৫-৬ কোটি টাকার কাঁচা ইট গলে যায়। এসব ইটের বাজারমূল্য প্রায় ২০-২২ কোটি টাকা।’

দক্ষিণ রাজানগরের ধামাইরহাট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতংকে এমনিতেই কৃষক ও সাধারণ মানুষরা দিশেহারা। এরই মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় সবাই হতাশ বোধ করছি।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলার গুমাই বিলসহ ১৭টি বিলে প্রায় ৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর চাষ হয়েছে। কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ১৭টি বিলে কমপক্ষে ১ হাজার ৫শ হেক্টর জমির পাকা ধান ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।’

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানি না। কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি ও ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটি নিরূপণের কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যদের বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!