কাপাসগোলার সড়কে ময়লা-ইট-বালু, পথচারীদের নাভিশ্বাস

ভাঙাচোরা সড়কে চলছে সংস্কারের কাজ। জায়গায় জায়গায় ময়লার স্তূপ। এসব মাড়িয়ে চলতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠছে পথচারীর। গলিজুড়ে ময়লার দুর্গন্ধ। কোনভাবে দৌড়ে গলি পার হতে পারলেই যেন মুক্তি! চট্টগ্রাম নগরীর কাপাসগোলা এলাকার মকবুল সওদাগর বাইলেইনের চিত্র এটি।

যখন করোনা তাণ্ডব মোকাবেলায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সরকারিভাবেই, সেই সময়ে এমন আর্বজনায় ডেঙ্গু, শ্বাসকষ্টসহ বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, ওই সড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সংস্কারের কাজ। সড়কের এই সংস্কারযজ্ঞ চালাতে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথেই রাখা হয়েছে বালুর স্তূপ। সম্প্রতি এর সাথে যুক্ত হয়েছে সড়কজুড়ে পড়ে থাকা ময়লা-আর্বজনা।

কাপাসগোলার সড়কে ময়লা-ইট-বালু, পথচারীদের নাভিশ্বাস 1

কাপাসগোলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর রহমান জানান, ওই সড়কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি ডাস্টবিন আছে। কিন্ত ৫-৬ দিন চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা না আসায় ডাস্টবিন ভর্তি হয়ে গলির অর্ধেক অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে ময়লা।

গৃহিণী রাবেয়া খাতুন বলেন, চলার পথে এমন আর্বজনা দেখেই বোঝা যায় কতটা দায়িত্বহীন চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এমন পরিস্থিতির কারণে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এদিকে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাপাসগোলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ লিখেছেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ এখন আতঙ্কগ্রস্থ। এমনই এক ক্রান্তিকালে চট্টগ্রামের চকবাজার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাননীয় কাউন্সিলর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আকুল আবেদন কাপাসগোলা মকবুল সওদাগর বাইলেন এমন আবর্জনার স্তুপ থাকা আমাদের জন্য বিপদ বয়ে আনবে। এমনিতেই মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছে। তার মধ্যে ডেঙ্গু, শ্বাসকষ্ট এবং বায়ুবাহিত রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ থাকার জন্য সাহায্য করুন।’

এএ/এসএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!