কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা এলাকায় কৃষি জমির পাশে এবং কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা ২টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষাধিক ইট, করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জুলধা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া এসব ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় পায়রা ব্রিকসকে (পিবিএম) ২০ লাখ, এইচটিএম ব্রিকসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ইআরএম ব্রিকস, টিএমবি ব্রিকস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম ডিবিশনাল ল্যাবটরি ডাইরেক্টর মোহাম্মদ নুরুউল্লাহ্ নুরী। এসময় উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন, পরিদর্শক হারুনু রশীদ, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিযানে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণফুলী নদীর দখলকৃত জায়গা অবমুক্ত করার জন্য। তারাই ধারাবাহিকতায় পবিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠা ইটভাটা গুলোতে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড ও অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাকি ইটভাটা গুলোতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসএইচ