করোনার কবলে ২০ বিচারক, বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪ জন

আদালতের ৮৩ কর্মচারীও আক্রান্ত

সারা দেশে অধস্তন আদালতের ২০ জন বিচারক এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রামের এবং কক্সবাজার ও খাগড়াছড়িতে রয়েছেন অপর দুই বিচারক। এ সময় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ২৪ জন কর্মচারী ও অধস্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারী। এছাড়া কোভিড-১৯–এর উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন আরও ছয়জন বিচারক।

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা ও দায়িত্ব পালনের সময় তারা সবাই আক্রান্ত হয়েছেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, গত ২২ মে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ শাহাজাহান কবির প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। একই দিন মুন্সিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া রহমান আক্রান্ত হন। বর্তমানে তাঁরা সুস্থ হয়ে আবার কাজে যোগ দিয়েছেন। এ মুহূর্তে ঢাকা সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদকে (জেলা জজ) প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ (সিনিয়র জজ) ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে এবং জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী (জেলা জজ) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এই পাঁচ বিচারক ছাড়া অধস্তন আদালতের অপর ১৫ বিচারক করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রামের এবং কক্সবাজার ও খাগড়াছড়িতে রয়েছেন অপর দুই বিচারক। এরা হলেন কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম, চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান এবং খাগড়াছড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান।

এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় আরও চিকিৎসা নিচ্ছেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরন শংকর হালদার (জেলা জজ), ভোলার জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম মাহমুদুল হক, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী (জেলা জজ), বরিশালের অতিরিক্ত জেলা জজ মুহাম্মাদ মাহবুব আলম, সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ পারভেজ, নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ মাসুদ জামান, কুড়িগ্রাম ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, নোয়াখালীর হাতিয়ার চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন, ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ তসরুজ্জামান ও ডিপিডিসির স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা।

অন্যদিকে কোভিড-১৯–এর উপসর্গ নিয়ে ১৮ জুন মারা গেছেন মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের জারিকারক মো. কাউসার এবং ১৯ জুন মৃত্যুবরণ করেন নওগাঁ জেলা জজ আদালতের অফিস সহায়ক মহিউদ্দিন মোহন। তাঁদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!