কম দামে খাদ্যদ্রব্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ, কে মানে সামাজিক দূরত্ব!

চট্টগ্রাম নগরীতে টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের কম দামে খাদ্যসামগ্রী কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। শত চেষ্টার পরও মানুষের ভিড় সামলানো যাচ্ছেনা। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা প্রবল হচ্ছে নগরীতে।

জানা গেছে, নগরীতে টিসিবির ২২টি গাড়ি এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ১০ জন ডিলার সরকার নির্ধারিত কম দামে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছে। কিন্তু এসব স্থানে পণ্য কিনতে এসে সামাজিক দূরত্ব মানছেনা সাধারণ মানুষ। পুলিশ ও প্রশাসন দূরত্ব মেপে বৃত্ত এঁকে দিলেও এ নির্দেশনা মানছেনা কেউ।

রোববার সকালে নগরীর সদরঘাট কালিবাড়ি এলাকার চৌধুরী স্টোরের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ মানুষ লাইনে আছে। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ানো মানুষ লেগে আছে একজন আরেকজনের সঙ্গে। অনেকে করছেন ধাক্কাধাক্কি।

আইসফ্যাক্টরি সড়কে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিলারের সামনেও একই অবস্থা। লালখানবাজারের লাইন ছিল দীর্ঘ। লাইনের বাইরেও শতাধিক মানুষের ভিড় ছিল ওই স্থানে।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা জনপ্রতি ৫ কেজি হিসেবে ৪০০ মানুষের মধ্যে চাল বিক্রি করেছি। আরও দেড় শতাধিক মানুষ চাল ছাড়া ফেরত গেছেন। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আমাদের। কারণ কেউই একটু সময় দিচ্ছে না, দূরত্ব মানছেনা। ধাক্কাধাক্কি ছাড়া একমুহুর্তও দাড়ায়নি কেউ। তাদের সামলে গিয়ে আমরাও অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছি।’

টিসিবির উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক পয়েন্টে ১০০ টি গোল চিহ্ন এঁকে দিয়েছি। মানুষ একসাথে বেশি আসায় চিহ্ন বরাবর প্রথম ১০০ জন দাঁড়ানোর পর বাকিরা বিশৃঙ্খলভাবে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের বুঝিয়েছি অনেক আমরা। কিন্তু তারা মানছেনা।’

চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের ১০টি টিমকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সহযোগিতা করছে। আমরা টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যপণ্য বিক্রির স্পটগুলোতে বিশেষ নজর রাখবো সামনে থেকে।’

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!