এমপি নদভীর চেয়ারম্যান শ্যালকের ওপর এবার ইউনিয়ন পরিষদেই হামলা, ওসির গলায় অন্য সুর

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় রুহুল্লাহর মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরেই তার ওপর হামলার এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর নৌকার প্রার্থীর প্রচার বহরে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চরতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এর মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান গুরুতর আহত হয়ে এখনও শয্যাশায়ী।

চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর শ্যালক।

রুহুল্লাহ চৌধুরীর বড় বোন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, ‘সাতকানিয়ার জনপদে ডাকাত সন্ত্রাসীদের অরাজকতা দেখার কি কেউ নেই? কার ইশারায় এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রম হচ্ছে? বর্তমান স্বতন্ত্র এমপি কি এসবের দায়িত্ব এড়াতে পারেন? সরকারদলীয় সাবেক এমপি নদভীর পিরিয়ডে ১০ বছর শান্তির জনপদ খ্যাত সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় কোন রাজনৈতিক হানাহানি মারামারি এমনকি চুরি ডাকাতি পর্যন্ত হয়নি। অথচ আজ এসব কিসের অশনি সংকেত?

রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, ‘চরতি ইউনিয়নের প্রথম নৌকার চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর উপর প্রকাশ্য দিবালোকে ইউনিয়ন বোর্ডে দায়িত্ব পালনরত অবস্হায় ডাকাত সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এই প্রকাশ্য হামলার মাধ্যমে এটা বোঝা যায় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ কত অসহায় হয়ে পড়েছে এসব সন্ত্রাসীর হাতে। একদিকে বড়হাতিয়ায় পরিকল্পিতভাবে বাঁধের পানি ছেড়ে দিয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষের ক্ষতি সাধন করেছে, অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় হামলার পর হামলা করে জনজীবন অতিষ্ট করে তুলছে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।’

তিনি বলেন, ‘এবার তোয়ারা হাইবাল্লায় ফল অইগিয়গই, দৌড়াদৌড়ি গলাবাজি গরর ভালা হতা। মারামারি গরি সন্ত্রাসী গরি খুন হারাবির চেষ্টা গরি অশান্তি কা গইত্যা লাইগ্য— ইয়ান সাধারণ মানুষর মনর হতা (এবার তোমরা সবকিছু খেয়ে ফেলার জন্য পাগল হয়ে গেছো। দৌড়াদৌড়ি গলাবাজি করছো ভালো কথা। মারামারি করে সন্ত্রাস করে খুনখারাবির চেষ্টা করে অশান্তি কেন করছো— এটা এখন সাধারণ মানুষের মনের কথা)।’

বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সেই সাথে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে দোষিদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে আইনের আওতায় আনা হয়।’

এদিকে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ সরকারি ঘর দেবেন বলে দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তি থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকার জন্য দেলোয়ার ইউনিয়নে গেলে চেয়ারম্যান তাকে মারধর করেন। পরে দেলোয়ারের লোকজনও চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে। আমাদের দুই-তিনজন অফিসার ঘটনাস্থলে আছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

আরএম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!