‘উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম’

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ১২৫১ বুথে থাকবে সিসি ক্যামেরা

উপনির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম থাকে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

উপনির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন। আর নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ আনুসাঙ্গিক সকল কাজ ইতোমধ্যে শেষ করার কথা জানায় চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিস।

শনিবার (২৯ জুলাই) ১০ আসনের ১৫৬ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) যাবতীয় সরঞ্জাম পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে।

রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৫৬টি কেন্দ্রের ১২৫১টি বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীকে মহিউদ্দিন বাচ্চু, লাঙল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, ছড়ি প্রতীকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া, বেলুন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী ও রকেট প্রতীকে মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া নির্বাচন করছেন।

ভোটগ্রহণের জন্য ৪ হাজার ১০৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এবং ২ হাজার ১১০টি ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই নির্বাচনী এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন।

এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য ১৬৪জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৩১৪জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৬২৮জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন।

নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১০ আসন। সাবেক মন্ত্রী ও এ আসনের হ্যাটট্রিক করা এমপি আফছারুল আমিনের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই উপনির্বাচন।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!