আগস্টে দ্বিতীয়বারের মতো মৃত্যু নামলো দশের নিচে, শনাক্ত ৫৮৯

গেল জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মহামারি করোনা ‘প্রাণঘাতী’ হিসেবে চট্টগ্রামজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই সময়ে প্রায় প্রতিদিন হাজারের ওপরে শনাক্তের পাশাপাশি দশ জনের অধিক করোনারোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ‘উন্নতি’ হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসে দ্বিতীয়বারের মতো মৃত্যু নামলো দশের নিচে। একই সময়ে কমেছে শনাক্তও।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৮৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৩৩৬ জন নগরের বাসিন্দা, ২৫৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে মারা যাওয়া ৯ জনের ৮ জনই উপজেলার বাসিন্দা।

এই নিয়ে চট্টগ্রামে শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৯৩ হাজার ২৩৪ জনে। এদের মধ্যে নগরের ৬৮ হাজার ৭৭৫ জন এবং ২৪ হাজার ৫৯৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, করোনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৩ জনে। এদের মধ্যে ৬৪০ জন নগরের এবং ৪৬৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। তথ্য অনুযায়ী, এইদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাব এবং বিভিন্ন এন্টিজেন টেস্টে ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৪ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ৫৪ জন নগরের এবং ৫৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ৭৬ জন। এদের ৫৩ জন নগরের, ২৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ৭৩ জনই নগরের, বাকি ৫৫ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১৮ জন নগরের এবং ৬৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ৩৬০ জনের নমুনা এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। তাতে ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৪২ জন নগরের এবং ৩০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা উপজেলার ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

এছাড়া বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এদের ৪০ জনই নগরের, ১ জন উপজেলার।

শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ১৮ জনই নগরের এবং ১ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৮ জন ও উপজেলার ৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩৫ জন ও উপজেলার ৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

উপজেলা পর্যায়ে বোয়ালখালীতে সবচেয়ে বেশি করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ৭৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এছাড়া লোহাগাড়ায় শূণ্য, সাতকানিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালী ১৪ জন, আনোয়ারা ৬ জন, চন্দনাইশ ৪ জন, পটিয়া ১০ জন, রাঙ্গুনিয়া ২৩ জন, রাউজান ৪০ জন, ফটিকছড়ি ১৪ জন, হাটহাজারী ৪১ জন, সীতাকুণ্ড ১২ জন, মিরসরাই ৭ জন এবং সন্দ্বীপে ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!