অবিবাহিত সেজে টিকটকার প্রেম জমায় তরুণীর সঙ্গে, শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও দিয়ে কামাই করে টাকা

টিকটকে কন্টেন্ট বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন নিউটন বড়ুয়া। ফেসবুকে অসংখ্য তরুণীকে জুটিয়েছেন তিনি বন্ধু হিসেবে। কিন্তু তারা কেউই জানেন না ২৮ বছরের এই যুবকের টিকটক-কন্টেন্ট প্রচারের আড়ালে রয়েছে অন্ধকার একটি জগত। মূলত ফেসবুকে তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে কৌশলে প্রেম জমানো তার কাজ। এরপর দেখায় বিয়ের প্রলোভন। সুযোগ বুঝে স্থাপন করে শারীরিক সম্পর্ক।

এটুকুতেই তার গল্প শেষ নয়, তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে নেয় সে। পরে এই ভিডিওকে পুঁজি করে ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে থাকে টাকা। এই টাকার অংকও লাখের কম নয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাউজান পৌর এলাকা থেকে নিউটন বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে রাউজান থানা পুলিশ। তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিউটন বড়ুয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকে কন্টেন্ট বানিয়ে প্রকাশ করতো। এর মধ্যে সে রাউজানের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে। নিজে এক সন্তানের বাবা হলেও নিজেকে অবিবাহিত বলে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম শুরু করে। দেখায় বিয়ের প্রলোভনও। পরে শারীরিক সম্পর্কের চালিয়ে যায় এক বছর ধরে। একপর্যায়ে ভিডিও ধারণ করে সেগুলো প্রচার করার কথা বলে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে হুমকি দেয়। ব্লেকমেইল করে হাতিয়ে নেয় দেড় লাখ টাকা।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন- ‘বাস্তবে এক সন্তানের বাবা হলেও গ্রেপ্তারকৃত নিউটন বড়ুয়া নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এছাড়াও তিনি এসব ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা আদায় করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নিউটনকে গ্রেপ্তার করি।’

তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!