অফডকে খালাস করা যাবে সকল পণ্যবাহী কনটেইনার

জট নিরসনে যে কোন পণ্যবাহী কনটেইনার বেসরকারী ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (অফডক) খালাস করা যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মোহাম্মদ মেহেরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এর আগে বন্দরের জট কমাতে শুধুমাত্র ৬টি পণ্যবাহী কন্টেইনার অফডকে খালাস করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল এনবিআর।

এই অফিস আদেশে আগের সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেশের সকল সমুদ্র বন্দর ও কাস্টমস হাউস আগের নিয়মেই স্বাভাবিক নিয়মে সচল রাখারও নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবুল কালাম আজাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যে কোন পণ্য অফডকে খালাস করা যাবে এমন সিদ্ধান্ত দিয়ে এনবিআর চিঠি দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে আশা করি বন্দরে আর কন্টেইনার জট থাকবে না।’

বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘সব ধরণের পণ্যবাহী কনটেইনার অফডকে রাখার অনুমতি আমাদের দাবি ছিল। এখন সেটি পেয়েছি। এতে প্রায় ২০ হাজার কনটেইনার সরবে বন্দর থেকে। কন্টেইনার জটও এ সিদ্ধান্তের ফলে কমবে।’

এর আগে বুধবার দুপুরে বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ৩৩টি অপেক্ষমান জাহাজে ৩৬ হাজার কনটেইনার আছে। বন্দর থেকে অফডকে কনটেইনার পাঠিয়ে এসব জাহাজের কনটেইনার নামাতে হবে। এখন থেকে যে কোন কনটেইনার অফডকে নামানো যাবে।’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এ সময় বলেন, ‘অনেক বাধা চিহ্নিত করে তা অপসারণের চেষ্টা করছি। কনটেইনার জট নিরসনে সব পণ্য অফডকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুমোদন পেতে যাচ্ছি। এর ফলে ১৮ হাজার কনটেইনার অফডকে নেওয়া যাবে। বিকেলের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে আশা করি।’

সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের টার্গেট জট কমানো। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ সহ আমদানিকারকদের স্টোর রেন্ট মওকুফের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে যেসব কনটেইনার জাহাজ এসেছে সেগুলো এই সুযোগ পেয়েছে।’

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার জট নিরসনে নতুন করে ৬ ধরনের পণ্য অফডকে সংরক্ষণের অনুমোদন দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

পণ্যগুলো হচ্ছে- সব ধরনের বীজ, ফাইবার, ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদিত ব্লক লিস্টের পণ্য, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা সুতা, ইনসেকটিসাইড এবং টায়ার কর্ড। এ আদেশ ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধুমাত্র ১ থেকে দেড় হাজার কন্টেইনার বন্দর থেকে অফডকে সরানো যেত। অল্প সংখ্যক কন্টেইনার বন্দর থেকে সরিয়ে কনটেইনার জট কমানোর কোন সুযোগ ছিল না।

বন্দর ব্যবহারকারীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অফডকে সবধরণের পণ্যবাহী কন্টেইনার রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!