অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আবু তৈয়ব (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাইফুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এদিন দণ্ডপ্রাপ্ত আবু তৈয়বকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।

আবু তৈয়ব চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার। তার বাবার নাম টুনু মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে আবু তৈয়বের সঙ্গে ভুক্তভোগী চন্দনাইশ উপজেলা বৈলতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহীন আক্তারের বিয়ে হয়। এর আগে শাহীন আক্তারের একবার বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকতেন শাহীন আক্তার। তবে তার নামে একটি বৈলতলী ইউনিয়নে বসতভিটে ছিল। এটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য শাহীন আক্তারকে চাপ দিতে থাকে আবু তৈয়ব। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি শাহীন আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী।

ওই সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শাহীন আক্তার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা নুরুল আলম বাদি হয়ে ওই দিনই চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছিল আবু তৈয়বকে।

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসামির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শাহীন আক্তারের দুই কন্যা রিমু আক্তার ও রেশমি আক্তারসহ মোট ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। এতে একমাত্র আসামি আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!