৪ বছরের শিশুর ৬ ইঞ্চি গলা কেটে ফেলল সৎ মা!
রাঙামাটি
রাঙামাটি শহরে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সৎ মা। তবে নিজের মায়ের চিৎকারে আপাতত বেঁচে গেছে ফারজান আহাম্মেদ। গলায় প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো কেটে যাওয়া ক্ষত নিয়েই শিশুটিকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘাতক সৎ মা কাউসার ফেরদৌসকে এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকালে শহরের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘হামলাকারী ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। আহত শিশু মায়ের বক্তব্যে শুনে আমরা আইনী প্রক্রিয়া শুরু করবো। তবে ডাক্তার তার চিকিৎসা দিচ্ছেন।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর খান বলেন ‘প্রচুর রক্তক্ষরণে ছেলেটি জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছে।’
শিশুটির আপন মা ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমি রোববার দুপুরের দিকে বাসার ছাদে কাপড় শুকাতে যাই। এ সুযোগে আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী কাউসার ফেরদৌস বাসায় এসে ফারজানকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। ছেলের চিৎকারে আমি ছুটে আসলে আমাকেও হত্যার চেষ্টা চালায় সে। পরে আমি চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে কাউসার ফেরদৌসকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে ফারজানকে উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশিরা।’
জানা গেছে, প্রচুর রক্তক্ষরণে ফারজান নিস্তেজ হয়ে গেলে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ সদস্য শিশুটিকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই ব্যাগ রক্ত দেন। পরে তাকে অস্ত্রোপচার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান, শহরের তবলছড়ি বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাফ্ফর আহাম্মদ তালুকদারের ছেলে মো. ফারুক আহাম্মদ তালুকদার বিপু ওই এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। শিশুটির গলায় অন্তত ৬ ইঞ্চির মতো কেটে দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশের সদস্যরা রক্ত দেওয়ায় শিশুটির অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে। অবস্থা এখনো বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসা চলছে।’
এএইচ