চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের প্লেট চাপা পড়ে নিহত স্বামীর কুলখানি শেষ করে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্ত্রী জাহেদা বেগমও। এতে আহত হয়েছে তার ৪ সন্তান। তারা হলো ইমন (১৮), মেয়ে সুমী (২০), মীম (৭) ও সুমন (২৮)। তাদের ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত জাহেদা বেগমের ছেলে সুমন।
তিনি বলেন, ‘আমি অপর বগিতে থাকায় বেঁচে গেছি। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কদমরসূলে জাহাজে কাজ করতে গিয়ে আমার বাবা নিহত হন। বাবার লাশ নিয়ে আমরা গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে যায়। এরপর কুলখানী শেষ করে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরে যাওয়ার সময় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্য ১৬ জনের সঙ্গে আমার মাও নিহত হয়েছেন। বাবা মারা যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মাকেও হারাতে হলো আমাকে।
জানা গেছে, তাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুরের রামনগরে হলেও তারা অনেক বছর ধরে সীতাকুণ্ডের কদমরসূলে বসবাস করছেন।
জাহেদার ননদ হাসিনা খাতুন বলেন, ‘মুসলিম মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাস করতো। জাহাজকাটা শিল্পে কাজ করতেন তিনি।’
উলেখ্য, সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
এএইচ