বিদেশি মদ, বিয়ার পাচার হয় চট্টগ্রাম বন্দরের ‘পাইলট ডিউটি’র গাড়িতে

গাড়িটির আয়নায় সাটানো ছিল চট্টগ্রাম বন্দরের মনোগ্রাম। আর গায়ে লিখা ছিল ‘ইমারজেন্সি পাইলট ডিউটি।’ গাড়িতে রাখা ছিল একটি ওয়াকিটকিও। এই গাড়ি দেখে যে কারও মনে হবে, এটি বন্দরের জরুরি কাজে নিয়োজিত।

কিন্তু না, ভুয়া স্টিকার, গায়ে পাইলট ডিউটির কথা লিখা আর ওয়াটকির বাহাদুরি দেখানো এই গাড়ি ব্যবহার হয় বন্দর দিয়ে আসা বিদেশী মদ ও বিয়ার পাচারের কাজে। কিন্তু বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের চোখ এবার ফাঁকি দিতে পারেনি তারা। এই চক্রের দুই জনকে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।

এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা তদন্তে কাস্টমস কর্তপক্ষ গঠন করেছে কমিটি।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বন্দরের প্রধান ফটক এলাকা থেকে আটক করা হয় তাদের। পরে তাদের বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও একটি সিএনজি অটোরিকশা আটক করে আনসার সদস্যরা।

জব্দকৃত মদ ও বিয়ারের মধ্যে রয়েছে ২০৯টি হ্যানিকেন বিয়ার, ১০০০ মিলিলিটার পরিমাণের ২৪টি পাসপোর্ট স্কচ ব্লেন্ড স্কচ হুইস্কি, একই পরিমাণের ৭টি ব্লান্টস ফিন্যাস ব্লেন্ড স্কচ উইস্কি।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাস্টমস হাউসে আয়োজি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডেপুটি কমিশনার সোলতান মাহমুদ।

তিনি বলেন এ সময় বলেন, ‘সোমবার রাত ৯টার দিকে বন্দরের মনোগ্রামযুক্ত ও ইমারজেন্সি পাইলট ডিউটি লিখা একটি গাড়িতে করে মদগুলো পাচার হচ্ছিল। ওই গাড়ির ভিতরে বন্দর কর্তপক্ষের ওয়াকিটকিও ছিল। গাড়িটি কাস্টমসের ভবনের পেছনে আসার পর একটি সিএনজি অটোরিকশায় এসব মদ তোলা হচ্ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতেই তারা এ কৌশল আঁটে। বন্দরের স্টিকার থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই আমরা সন্দেহ করি না। কিন্তু আমাদের চৌকষ আনসার সদস্যরা তাদের মদসহ আটক করতে সক্ষম হয়।’

এ সময় প্রাইভেট কার চালক মন্টু দাশ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক মাসুদ রানাকে আটক করে বন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাসুম বাদী হয়ে এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!