যৌতুকের দাবিতে আইনজীবী স্বামীর ধারাবাহিক নির্মম নির্যাতনে মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক তরুণীর মারা যাওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নিহতের স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলামসহ তার দুই বোন ফরিদা আক্তার ও হামিদা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আরও চারজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আনিসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আখির মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আঁখির ভগ্নিপতি আবুল কালাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার শ্যালিকা আঁখির সাথে আইনজীবী আনিসুল ইসলামে বিয়ে হয় প্রায় দেড় বছর আগে। দুজনের বাড়ি বাঁশখালীর জলদি গ্রামে। বিয়ের পর তারা নগরীর চান্দগাঁও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।’
আবুল কালামের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর থেকে স্বামী আনিসুল যৌতুকের জন্য আঁখির ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সে তার পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানালে স্বামী আরও বেশি নির্যাতন চালাতে থাকে। ৬ মাস আগে তার ফোন কেড়ে নেয় আনিসুল। যার কারণে এতো দিন পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।’
আবুল কালাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পেটে লাথি মারলে আঁখি গুরুতর আহত হয়। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) তাকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে নির্যাতনে আঁখির পেটের নাড়িভূঁড়ি ছিঁড়ে যায়। কিন্তু জটিল এ অপারেশন করতে তারা অপরাগতা প্রকাশ করলে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আঁখিকে পাঁচলাইশ সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে ভর্তি করানো। সেখানেই ওইদিন সন্ধ্যায় সে মারা যায়।’
আরএম/এমএহক