নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ ভেসে উঠল কর্ণফুলীতেই

নিখোঁজের একদিন পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতেই ভেসে উঠল ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের (৫০) লাশ। শনিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটার দক্ষিণে তার লাশ ভেসে উঠে।

সাজ্জাদ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বটতল এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ঢাকা ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর-বাংলাবাজার-সদরঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে ইছানগর প্রান্তে পার হওয়ার সময় ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় নৌকার ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় বৃদ্ধ লায়লা বেগমকে (৫০)। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই নৌকায় ছিলেন ভাইয়ের বাসায় মাকে দেখতে যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনও।

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এইচএম পেয়ার আলী নৌকাডুবির দিন জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত সাম্পান ইছানগর যাওয়ার পথে জাহাজের ঝুলন্ত রশির সঙ্গে আটকে সাম্পানটি ডুবে যায়। পরে আশপাশের অন্যান্য নৌ-যানের সহযোগিতায় মাঝিসহ যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যাত্রী লায়লা বেগমকে (৫০) নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাজ্জাদের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পরে সিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।’

শনিবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কর্ণফুলী নদীতে দুর্ঘটনাস্থলের ১০০ মিটার দক্ষিণে তার লাশ ভেসে উঠলে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।

মৃত ব্যাংক কর্মকর্তার ভাই ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘আমরা রাত ৩টার দিকে নদীতে আমার ভাইয়ের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশকে জানাই। পরে তাদের সহায়তায় মরদেহ তীরে আনি।’

সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিউটন চৌধুরী লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাম্পান ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!