জি কে শামীম চবির ঠিকাদারি পাওয়ার কদিন পরই খুন হন দিয়াজ

দিয়াজ হত্যামামলায় জি কে শামীমকে আসামি করার আবেদন

যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের আদালতে এ আবেদন করেছেন। জাহেদার আবেদন গ্রহণ করে দিয়াজ হত্যামামলায় জি কে শামীমের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিকেতন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদসহ জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকার বাসার শয়নকক্ষে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এরপর তার পরিবার দাবি করে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং তা ঘটানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা উন্নয়ন কাজ পাওয়া নিয়ে।

২০১৬ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান সার্স দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জি কে বিল্ডার্স লিমিটেড (জেভি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন নির্মাণে ৭৫ কোটি টাকার কার্যাদেশ পায়। জি কে শামীম স্বনামেই এই কার্যাদেশ পান। এই কাজটির জন্যই দিয়াজকে হত্যা করা হয় এবং জি কে শামীম নেপথ্যে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল শুরু থেকেই। তার পরিবারও বিভিন্ন সময়ে এদিকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেয় গণমাধ্যমে।

দিয়াজ হত্যামামলায় আসামিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু ছাড়াও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন। এছাড়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, কর্মী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরোব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!