পাহাড়ের কোল ঘেঁষে উঁচু নিচু চা বাগানের শ্রমিক হয়ে নিরব ও অপু বিশ্বাসের দিন কাটছে। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দিন শুরু হচ্ছে তাদের। এরপর নেমে পড়ছেন কাজে। দিনভর কাজে ডুবে সূর্য পশ্চিমে হেলার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হচ্ছে তাদের দিন। দুজনার চেহারাও মলিন, চা বাগানের শ্রমিকদের মতো। নেই কোনো গ্লামার, নেই জৌলুস! নিরব-অপু যেন চা বাগানের শ্রমিক!
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে শুটিং চলাকালে চা শ্রমিক হয়ে ধরা দিলেন দুই চিত্রতারকা নিরব ও অপু বিশ্বাস। এবারই প্রথম তারা জুটি হয়ে কাজ করছেন ছায়াবৃক্ষ শিরোনামে একটি ছবিতে। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় এ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে ৬ নভেম্বর থেকে। নির্মাতা জানান, রাঙ্গুনিয়ার কোলাদা চা বাগানে পুরো ইউনিটের শুটিং চলছে। আরও দুই সপ্তাহ এখানে শুটিং চলবে।
‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবির পুরো অংশ জুড়ে চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন প্রণালী ধরা দেবে। নিরব বলেন, তাদের জীবনের সুখ দুঃখ হাসি কান্না, নিজেদের মধ্যে কোন্দল সবকিছুই ফুটে উঠবে এ ছবির মাধ্যমে। সবকিছুই পর্দায় জীবন্তভাবে ফুটে উঠবে। এখানে তেমন করোনার প্রকোপ নেই। তারপরেও প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন। যতদূর সম্ভব সাবধানেই কাজ করছি।
প্রায় একযুগ আগে দ্বৈত পরিচালক শাহীন সুমনের ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, ‘মনে বড় কষ্ট’ দুই ছবিতে অপু বিশ্বাসের নায়ক না হলেও সহশিল্পী ছিলেন নিরব। এবার নিরবকে নায়ককে পাচ্ছেন অপু বিশ্বাস। তারা দুজন অনুপ ও তুলির চরিত্রে অভিনয় করছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ছায়াবৃক্ষ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন অপু। এ নায়িকা শুধু তুলি চরিত্রের জন্য অনেকখানি ওজন কমিয়েছেন।
অপু বিশ্বাস বলেন, চা বাগানের শ্রমিকের চরিত্র তার জন্য একেবারেই নতুন। এ চরিত্রের জন্য নিজেকে ভাঙতে হয়েছে। শ্রমিকদের দিন যাপন রপ্ত করতে হয়েছে।
নিরবের সঙ্গে কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, সহশিল্পী হিসেবে নিরব ভীষণ সহযোগিতা পরায়ণ। সহশিল্পীকে প্রাপ্ত সম্মান দিতে জানে। তাছাড়া ইউনিটের প্রত্যেকেই নিবেদিত প্রাণ। পর্দায় নিজেকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে পরিশ্রম স্বার্থক হবে।
সরকারী অনুদান প্রাপ্ত অনুপম কথাচিত্রের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবিটি। নিরব-অপু ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপ বড়ুয়া, নওশাবা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, ইকবাল আহমেদ, বড়দা মিঠু প্রমুখ। ছবির সংগীত পরিচালনায় ইমন সাহা এবং কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করছেন তানভীর আহমেদ সিডনি।