মধ্যরাতে কাট্টলীতে ঘুমন্ত পেয়ারী পুড়ে অঙ্গার, ৭ জনের অবস্থা আশংকাজনক

সবাই তখন গভীর ঘুমে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাসার চারপাশে দাউ-দাউ করে জ্বলে উঠে আগুন। সোমবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহর উত্তর কাট্টলীর চৌধুরী বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে একই পরিবারের সাতজনসহ অগিদগ্ধ হয়েছেন নয়জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) সোমবার সকালে পেয়ারী বেগম মারা যান একজন। বাকি আটজনের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের বেশিরভাগেই পুড়ে গেছে শ্বাসনালী।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৬০ বছরের পেয়ারী বেগম নোয়াখালী থেকে ছেলের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. রফিক উদ্দিন আহমদ। তিনি জানান, ‌‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও আমরা তাকে এখনো ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাকি আটজনের মধ্য একজন বাদে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। এই সাতজনের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। দুইজনকে ইমিডিয়েট আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় তাদের বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে।’

অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ারা হলেন-মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুল ইসলাম (২৫), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (০২), মাহের (৮), পিয়ারী বেগম (৬৫), রিয়াজ (২২), জাহান(২১), সুমাইয়া (১৮)। এদের মধ্যে পিয়ারী বেগম মারা গেছেন।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মধরাতে আকবরশাহ থানাধীবন উত্তর কাট্টলীতে মুরাদ চৌধুরীর বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে যেতে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় মোট নয় জন দগ্ধ হয়েছেন। সবাই চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।’

আরএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!