চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক ‘ডিডি’র মৃত্যু, মামলায় কথিত যুবলীগ নেতাসহ আসামি ৯

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালত মামলাটি এজহার হিসেবে গণ্য করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- চান্দগাঁও থানার ওসি খায়রুল ইসলাম, এএসআই মো. ইউসুফ আলী, এএসআই সোহেল রানা, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, শহীদুল্লাহর প্রতিবেশি এস এম আসাদুজ্জামান, কথিত যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, মো. লিটন, রনি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।

অভিযুক্তদের পারস্পরিক যোগসাজশে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আদালতের সেই বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হারুন উর রশিদের সমন লুকিয়ে ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি বাণিজ্য এই ঘটনার জন্য দায়ী। এছাড়া বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের দ্বারা হেনস্তার স্বীকার হন সাবেক দুদক কর্তা শহিদুল্লাহ। তবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তার ভাই ও বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন থানায় যান। এসময় তারা শহিদুল্লাহর জন্য ওষুধ নিয়ে যান। তিনি হার্টে বাইপাস করা এবং ডায়বেটিক ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

কিন্তু থানার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা শহিদুল্লাহকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেননি। বরং ওসির কক্ষে তাকে হেনস্তা করায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর আত্মীয়দের কাছে থানা থেকেই তাকে হস্তান্তর করে পুলিশ। হাসপাতালেও যাননি কোনো পুলিশ সদস্য।

এদিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য আরো ১০ দিন সময় চেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

এর আগে এই ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ানকে প্রধান করে এক সদস্যর তদন্ত কমিটি করা হয়। এতে তিনি দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!