চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী আটকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ
চট্টগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচলাইশের আরাকান হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। এই অপহরণে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ মডেল থানা ছাড়াও র্যাব-৭ এর কাছে সুনির্দিষ্টভাবে চারজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন অপহরণের শিকার ওই ব্যবসায়ী আল মামুন তালুকদার। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি পাঁচলাইশ থানা।
মুরগি খামারের ব্যবসায়ী আল মামুন তালুকদার অভিযোগ করেছেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর বাঁশখালী থেকে মুরগির খাবার কেনার পর চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে আসেন তিনি। সেখানে আসার পর তাকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বকেয়া টাকা নেওয়ার জন্য পাঁচলাইশের এ কে কনভেশন হলের সামনে অবস্থান করছেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ব্যবসায়ী আল মামুন সেখানে গেলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে তাকে আরাকান হাউজিং সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মামুনুর রহমান চৌধুরীর বাসার গলির ভেতরে নিয়ে ১২ তলা ভবনের ছাদের ওপর তোলা হয় তাকে।
ব্যবসায়ী আল মামুন অভিযোগ করেন, ছাদের ওপর নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া সঙ্গে থাকা অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্যামসাং গ্যালাক্সি ব্রান্ডের মোবাইল সেটটিও কেড়ে নিয়ে তাকে বেঁধে রাখে অপহরণকারীরা।
এরপর তারা ব্যবসায়ী আল মামুনের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অপারগতা জানালে মারধর করতে করতে একপর্যায়ে অস্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করে গুরুতরভাবে জখম করে।
ফোনে ঘটনা জেনে ব্যবসায়ী আল মামুনের ছেলে বিকাশে অপহরণকারীদের একজনের বিকাশ একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। এরপর তারা ছেলের কাছ থেকে একটি ব্যাংক চেক নেওয়া ছাড়াও একটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।
মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই ব্যবসায়ীকে পরে ছেড়ে দেওয়ার পর তিনি পুরো ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন পাঁচলাইশ মডেল থানা ছাড়াও র্যাব-৭ এর কাছে। ব্যবসায়ী আল মামুন অভিযোগ করেন, এখন তারা ফোন করে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।