আনোয়ারায় শেষ হল এলিজার ৬৪ জেলা ভ্রমণের মিশন

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো দেখার অভিযানে নেমেছিলেন এলিজা বিনতে এলাহী। তিন বছর পর সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। দেশের সব হেরিটেজ সাইট দেখেছেন এই পর্যটক। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) আনোয়ারা ভ্রমণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাঁর এ মিশন।

গত বুধবার চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন এলিজা। দুপুরে মিরসরাই জমিদার বাড়ি দেখে সন্ধ্যায় বন্দর নগরীতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড ও শুক্রবার সকাল থেকে সারাদিন আনোয়ারা পরৈাকোড়া জমিদার বাড়ি, মনমিয়া মানহা বানুর দিঘী, বন্দর চাঁদ সওদাগরের দিঘী, পারকি সমুদ্র সৈকত, দেয়াং পাহাড় ও কর্ণফুলীর মরিয়ম আশ্রম ঘুরে দেখেন ভ্রমণকন্যা এলিজা বিনতে এলাহী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, সুমন শাহ্ ও জামশেদুল আলম।

২০১৬ সালের ১৭ মে বলধা গার্ডেন দিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ শুরু করে এলিজার। তখন তিনি এই উদ্যোগের নাম রাখেন ‘কোয়েস্ট: অ্যা হেরিটেজ জার্নি অব বাংলাদেশ’। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার অনুসন্ধান, খোঁজা, জানা। নিজের জ্ঞান আহরণের জন্য ঘুরছি। সেজন্য কোয়েস্ট নামটি বেছে নিই।’ আর আনোয়ারা দিয়ে শেষ হলো তাঁর মিশন।

আনোয়ারায় ভ্রমণকন্যা এলিজা বিনতে এলাহী
আনোয়ারায় ভ্রমণকন্যা এলিজা বিনতে এলাহী

তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে নেপালে প্রথম বিদেশ ভ্রমণে যান এলিজা। ইতোমধ্যে ৪৬টি দেশে বেড়িয়েছেন তিনি। এশিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বেরিয়েছে তাঁর দুটি তথ্যহুল প্রকাশনা ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি’ ও ‘এলিজা’স ট্রাভেল ডায়েরি-২’। প্রতিটি জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা নিয়ে আলাদাভাবে বই লেখার পরিকল্পনা আছে তাঁর।

স্থানীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, আনোয়ারা ঐতিহ্যে ভরা, এখানে দেশখ্যাত পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী আসায় আমরা সমৃদ্ধ হলাম।

পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের পাশাপাশি ‘হেরিটেজ ট্যুরিজমকে’ জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। আনোয়ারা দিয়ে আমার শেষ হলো ৬৪ জেলা, এটা খুবই আনন্দের।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!