৮টি আন্ত:নগর ট্রেন দিয়ে সচল হচ্ছে রেলপথ

৩১ মে থেকে সীমিত আকারে চলবে ট্রেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে রেল ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। কারণ শনিবার (৩০ মে) রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গণমাধ্যম কর্মীদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলেই জানান রেল কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে পূর্ব শাহনেওয়াজ (সিইউপিএস) চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের কাছে এখনও ট্রেন চলাচল বিষয়ে কন্ট্রোল আদেশ আসেনি। আসলে তা বিস্তারিত জানাতে পারবো।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল করবে। ৮টি রুটে ৮টি আন্ত:নগর ট্রেন দিয়ে এ যাত্রা শুরু হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় টিকেট দেওয়া হবে ধারণক্ষমতার অর্ধেক। ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন ১টি করে আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে কোনও মেইল ট্রেন আপাতত চলবে না। এক্ষেত্রে টিকেট বিক্রি ও যাত্রী পরিবহনে থাকবে কড়াকড়ি নজরদারি। ২ জনের সীটে ১ জন করে যাত্রী বসতে পারবে।

তবে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে কিনা এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সূত্রটি। শনিবার রেলমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং থেকে বাকি বিষয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, এখনও আমাদের হাতে কোন কন্ট্রোল অর্ডার আসেনি। তবে ট্রেন চলাচলে আমরা সবসময় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

এ ব্যাপারে জানতে এডিজি অপারেশন (ওপি) মিয়া জাহানের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে করোনা তাণ্ডবে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিলেও তা প্রধানমন্ত্রীর গ্রিন সিগনাল না পাওয়ায় চলাচল সম্ভব হয়নি।

জেএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!