৫ বছরে ৫ বিল্ডিং— মদ মহালের অনুপ বিশ্বাসের হাতে জাদুর কাঠি!

নানান কারণে বছরজুড়ে সমালোচিত চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটার মদের মহালের মালিক অনুপ বিশ্বাসের সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্য রকম। এই পাঁচ বছরে অনুপ বিশ্বাসের সম্পদের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৫টি ৫ তলা বিল্ডিং। যার তিনটি তার নিজের নামে আর দুটি স্ত্রীর নামে। বার্ষিক আয় বেড়েছে ৩০ লাখ টাকার বেশি।

অনুপ বিশ্বাস নগরীর কোতোয়ালী থানার ইকবাল রোডের মৃত শচীন্দ্রলাল বিশ্বাসের ছেলে। ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে তিনি নির্বাচন করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। পড়ালেখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস অনুপ বিশ্বাসের মূল ব্যবসা মদ। তবে পেশার কলামে তিনি গত নির্বাচনে ‘অনুপ বিশ্বাস এন্ড ব্রাদার্স’ এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট উল্লেখ করলে এবার ‘অনুপ বিশ্বাস এন্ড ব্রাদার্স’-এর পাশে লিখেছেন মৎস্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান- নোঙর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘এনআরবি অ্যাংকর ইন্ডাস্ট্রিজ’ ও ‘ফিসারীঘাট কান্ট্রি স্পিরিট শপ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

নতুন হলফনায় তার বাড়ি, দোকান, এপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ বার্ষিক আয় যুক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩ টাকা। ব্যবসায় আয় যুক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৩১ টাকা। যা আগের হলফনামায় ছিল না।

৫ বছর আগে তার হাতে কোন নগদ টাকা না থাকলেও বর্তমানে তার হাতে নগদে ১ লাখ টাকা আছে। তার স্ত্রীর হাতে ৫ বছর আগে ৬০ হাজার টাকা নগদ ছিল। সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা কমে স্ত্রীর কাছে আছে ৫০ হাজার টাকা।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আগে তার নামে ছিল ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৫ বছরে কমে তা বর্তমানে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে ছিল ১ লাখ টাকা। বর্তমানে সেখানে আছে ৫০ হাজার টাকা। তার এফডিআর ছিল ২৫ লাখ টাকা, যা এখন আর নেই। স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্র ছিল ১ লাখ টাকা, যা বর্তমানে নেই।

৫ বছর আগে তার কোন গাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তিনি সিআরভি মডেলের একটি প্রাইভেট কার আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। আগে তার ১ ভরি স্বর্ণ ছিল, স্ত্রীর ছিল ৫ ভরি। বর্তমানে তার স্বর্ণ নেই, স্ত্রীর বেড়ে হয়েছে ১০ ভরি।

আগের হলফনামায় কোন ঋণ না থাকলেও এখন ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক ঋণ আছে তার নামে। স্ত্রীর নামে আগে ৩ লাখ টাকার কৃষি থাকলেও তা এখন আর নেই।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!