নিজস্ব প্রতিবেদক : কোম্পানীর শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগে চট্টগ্রামের রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরন অঞ্চল কেইপিজেড এর ৪ বিদেশী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অপর এক বিদেশী ব্যবসায়ী।
অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগকারী সী জিয়ানজ্যুন (৩৮) চীনের নাগরিক। তিনি কেইপিজেডের সেক্টর-২ প্লট নং ৫১, ৫২ এ অবস্থিত সেগিন সেনং এন্টার প্রাইজ কোং লিঃ এর পরিচালক।
গত ২৭ জুলাই নগরীর ইপিজেড থানায় লিখিত এ অভিযোগ দায়ের করা হলেও আজ রবিবার (৩০ জুলাই) বিকালে সংবাদ মাধ্যমকে জানায় বাদী পক্ষের আইনজীবিরা।
বিবাদীরা হলেন- চেং চেঙ্গ টিশুন (৬৪), চেং স্যাটোসি ব্ররুই (৪৩), চেং লী চিং (৪১) ও চেং ইউ চুয়াং (৪০)।
তারা ৪ জনই তাইওয়ানের নাগরিক।
অভিযোগে বাদী পক্ষের আইনজীবি জিয়া হাবীব আহসান পাঠক ডট নিউজকে জানান, উল্লেখিত বিবাদীগণ গত ১০/৭/২০১৬ইং তারিখ থেকে ৫/৭/২০১৭ইং পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে পরস্পর যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বাদীসহ তার অপর তিন পার্টনারের স্বাক্ষর জাল করে তাদের শেয়ার হস্তান্তর করেছেন মর্মে দেখিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট সৃজনে জয়েন্ট স্টক অফিসে ঐ সকল জাল দলিল দাখিল করে। এবং সত্য মর্মে সার্টিফিকেট আদায় করেন।
এই ব্যাপারে বাদী গত ০২/০৭/১৭ ইং তারিখে বিবাদীদেরকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। তারা উক্ত নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও আপোষে বিরোধ নিষ্পত্তি করেনি।
উক্ত শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে তারা শেয়ার মূল্য আত্মসাৎ করেন। বাদী বাংলাদেশে অনুপস্থিত থাকাকালে আসামীগণ তাহার স্বাক্ষর জাল করে উক্ত ডকুমেন্ট তৈরী করেন।
এব্যাপারে গত ২৭ জুলাই-২০১৭ইং তারিখে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৪৬৪/৪৬৭/৪৬৯/৪৭১/১০৯/৩৪ ধারায় ইপিজেড থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন, ৪ বিদেশী নাগরিকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সেনসেটিভ হওয়ায় আমরা গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখছি। তাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পরিক্ষা নীরিক্ষার পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মামলা দায়েরর পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য বিবাদীগণ তাইওয়ানী নাগরিক হন এবং তারা একই পরিবারের সদস্য। বাদী পক্ষে অভিযোগটি পরিচালনা করছেন এডভোকেট এ.এম. জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন এবং এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন।