৪৫ লাখ টাকা মেরে জেলে ঠাঁই, গ্রাহকের মাসিক কিস্তির টাকা জমতো দুই ডাক কর্মকর্তার পকেটে

তিন গ্রাহক মাসে মাসে এসে টাকা জমা দিতেন ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে খোলা তাদের একাউন্টে। সঞ্চয় করতে তারা বেছে নিয়েছিলেন বিশ্বস্ত এই প্রতিষ্ঠানকে। ডাক বিভাগের দায়িত্বরত দুই কর্মকর্তার হাতেi জমা দিতেন তারা এই কিস্তির টাকা। জমা রশিদও নিতেন তাদের হাত থেকে। কিন্তু ওই টাকা তাদের একাউন্টে নয়, জমা হতো ওই দুই কর্তার পকেটে! গ্রাহকে হাতে যে রশীদ গুজে দেওয়া হতো, ওগুলো ছিল জাল! এভাবে এক টাকা, দুই টাকা নয়, তারা আত্মসাৎ করেছে তিন গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা!

নজিরবিহীন এই ঘটনার জন্ম দিল ডাক বিভাগ চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা সারওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদ। তবে শেষরক্ষা হয়নি। অডিটে তাদের এই গোপন অপকর্ম উঠে এলো প্রকাশ্যেই। তাদের ঠাঁই হল শ্রীঘরে।

ডাক বিভাগের নিজস্ব অডিটে তা প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে সারওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদ ওই দুই কর্মকর্তাকে কোতোয়ালী থানায় সোপর্দ করছে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডাক বিভাগের নিজস্ব অডিটে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি ধরার পড়ার পর আমাদের কাছে দুই কর্মকর্তাকে তারা সোপর্দ করেছেন। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

ডাক বিভাগের পরিদর্শক রাজিব পাল বলেন, ‘আমাদের তিন গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা অভিযুক্ত সারওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদ তাদের হিসাবে জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। আমাদের অডিটে তা ধরা পড়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।’

ডাক বিভাগের আরেক কর্মকর্তা জানান, নুর মোহাম্মদ ও সারওয়ার আলম মিলে ওই তিন গ্রাহককে তারা হিসাবের ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছেন। ওই হিসাবের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। জমা দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে এই দুই জন টাকা আদায় করতেন। আমাদের অডিটে তা ধরা পড়ার পর তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!