হাটহাজারীর সড়কে ৩ অবৈধ পশুরহাট, ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি ২ ঘণ্টায়

সড়কে পশুরহাট নিষিদ্ধ করা হলেও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের হাটহাজারীর তিন স্থানে বসেছে অবৈধ পশুরহাট। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ৩০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লেগেছে প্রায় দু’ঘণ্টা।

সোমবার (২৬ জুন) বিকালে দেখা গেছে এমন চিত্র।

অথচ সড়কের যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পশুহাট বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির সড়কে চৌধুরীহাট, সরকারহাট ও নোয়াহাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় পশুরহাটের কারণে। এরমধ্যে নোয়াহাটে ফরহাদাবাদ স্কুল মাঠে বসেছে গরুর হাট, যা পুরোটায় অবৈধ। এই হাট বসানোর পেছনে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের পরিষদের কয়েকজন সদস্য জড়িত।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার চৌধুরীহাটে বসেছে পশুরহাট। হাটহাজারীর নয়াহাটে ফরহাদাবাদ স্কুল মাঠের বসা পশুরহাটের অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে। অপরদিকে সরকারহাটে বসা পশুরহাটের অনুমোদনও নেই।

হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার মো. নুরুল আলম বলেন, ‘ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার (সদস্য) সিন্ডিকেট করে স্কুল মাঠে এই পশুরহাট বসিয়েছেন। এটির কোনো অনুমোদন নেই।’

হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখি বাসযাত্রীর গোলাম রাসুল বলেন, ‘হাটহাজারী তিন স্থানে পশুরহাটের কারণে ৩০ মিনিটের এই পথ আসতে দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমরা শুনেছি সড়কে পশুরহাট নিষিদ্ধ করেছে সরকার, কিন্তু কে শুনে কার কথা? এসব পশুরহাটে ট্রাফিক এবং পুলিশ দেখিনি। যানজট হলেও কোনো শৃঙ্খলা দেখিনি। ফলে দুর্ভোগ আরও দ্বিগুণ হয়েছে।’

ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলম বলেন, ‘সড়কে গরুর বাজার বসাতে আমরা নিরুৎসাহিত করেছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা? বিক্রেতারা সবাই গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।’

স্কুলমাঠ বাজার বসানোর অনুমোদন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনুমোদন আছে।’

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি, ভাল করে রাস্তাঘাটও চিনি না। অনুমোদন আছে কি-না সেটি আমার জানা নেই। তবে যানজটের বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।’

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্কুলমাঠে কোনোভাবেই পশুহাট বসতে পারবে না। ফরহাদাবাদ স্কুল মাঠে পশুরহাট বসেছে, এটি আমার জানা ছিল না। এছাড়া সড়কের ওপরও পশুরহাট বসানোর অনুমোদন নেই। আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!