সাত অভিযোগ নিয়ে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু, বেশিরভাগই মানহানি

চালু হওয়ার দুই দিনের মাথায় সাতটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল। এ অভিযোগগুলোর বেশিরভাগই মানহানির অভিযোগ।

বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই ট্রাইব্যুনালে থাকছেন দুই জন বিচারক। এছাড়া পাঁচজন বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, গত ৪ মে (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামে এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (৬ মে) পর্যন্ত এখানে পিটিশন দায়ের হয়েছে সাতটি।

২০১৩ সালে ঢাকায় প্রথম সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের সাত বছর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামসহ সাত বিভাগীয় শহরে আরও সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার।

গত ১৬ মার্চ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানকে চট্টগ্রাম সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে পদায়ন করা হয়।

জানা যায়, অনলাইনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ২০১৩ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৮ ধারার আলোকে ঢাকায় প্রথম স্থাপন করা হয়েছিল সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে একই আইনের আলোকে দেশের সাত বিভাগেও এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের জন্য দুটি বিচারিক পদসহ সাতটি পদ সৃষ্টি করা হয়। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক থাকবেন।

এ ছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, বেঞ্চ সহকারী একজন, আউটসোর্সিং গাড়িচালক একজন, আউটসোর্সিং জারিকারক একজন, এমএলএসএসের একজন আউটসোর্সিং পদ রয়েছে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে গাড়ি, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে এ ট্রাইব্যুনাল যাত্রা শুরু করায় চট্টগ্রামবাসীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করতে ঢাকায় যেতে হবে না। এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধে আসামিরা প্রভাবশালী হলে থানায় অনেক সময় মামলা নিতে চায় না। ফলে ভুক্তভোগীদের বাধ্য হয়ে ঢাকায় গিয়ে মামলা করতে হতো। কিন্তু এবার চট্টগ্রামে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি অনেকাংশে কমবে। একইসঙ্গে এসব অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে।’

জিয়া হাবীব আহসান আরও বলেন, ‘দুই দিনে যে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই মানহানির মামলা। ভূঁইফোড় অনলাইন ও মিডিয়ার কারণে মিথ্যা, সংবাদ পরিবেশন করে সাধারন মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল করছে। এ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা সরাসরি আদালতে এসে এ ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারবেন। কিন্তু ভিকটিমকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।’

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!