রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন ও আগুনের মামলায় ২১ জন ধরা

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের দফায় দফায় সহিংস ঘটনায় ৫টি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা এসব মামলায় র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করেছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২ ইস্টে ডি-১ ব্লকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্ত রোহিঙ্গারা। এ সময় ৩টি ঝুপঁড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এর আগে গত ৭দিনে আরসা ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি বিনিময়ের ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি স্থানীয় নাগরিক।

স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুক মিয়া বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দারা অসহায় হয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মাসখানেক আগে আমার ভাই আব্দু শুক্কুরকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। গত ৪২ দিন ধরে উদ্ধার না হওয়ায় উৎকণ্ঠায় রয়েছি।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানান, বুধবার রাতে কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকে দুর্বৃত্তের আগুনে ৭-৮টি বসতঘর পুড়েছে এমনটি তথ্য পেয়েছি।

তিনি বলেন, রাতে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যে কোনও একপক্ষ অগ্নিসংযোগ করতে পারে।

উখিয়া ফায়ার স্টেশন ম্যানেজার ইমদাদুল হক বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩টি বসত ঘর পুড়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।

উখিয়ার থানার ওসি মো. সঞ্জুর মোরশেদ জানান, গত ১৫ দিন ধরে কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিবাদমান দুইটি গ্রুপ বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে বুধবার পর্যন্ত ৮ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ৫টি মামলা দায়ের করেছে। ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার টেকনাফের চাকমারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করে র্যা ব। এ সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও উদ্ধার করা হয়।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!