ইফতেখার শাহজীদ, কুতুবদিয়া : কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় সরকারী দপ্তরগুলোতে চলছে বার্ষিক বরাদ্ধ লুটের মহোৎসব। একশ্রেণির দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ভূয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এসব অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মৎস্য অফিসের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে বরাদ্ধকৃত অর্থের সিংহভাগই ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লোপাট করেছে ওই অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মৎস্য কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী। এসব ভূয়া বিল ভাউচারে উভয়ের সীল ও স্বাক্ষর রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে গেছে, উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারী (এমএলএসএস) এ,কে, খাঁন অফিস কক্ষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও অন্যান্য কাজ করে থাকেন। কিন্তু ভূয়া বিল তৈরি করেছেন কপিল উদ্দিন নামে অফিসে কর্মরত নয় এমন এক ব্যাক্তির নামে। ওই বিলে কপিল উদ্দিনকে ঝাড়–দার হিসাবে দেখানো হলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরেকটি বিল ভাউচারে দেখা গেছে বিবরণের সাথে দোকানের কার্যক্রমের কোন মিল নেই। এ বিলে দেখা যায় উপজেলার মেডিকেল গেইট এলাকায় অবস্থিত মেসার্স বিসমিল্লাহ লাইব্রেরীতে উপজেলায় নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা ফটোকপি করেছেন।
অথচ লাইব্রেরীর মালিক বলেছেন তার প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন ফটোকপি মেশিন ছিলনা। মৎস্য অফিসের করা একাধিক বিল ভাউচারে এমনই অসংগতি ধরা পড়েছে। এছাড়াও আরো একাধিক বিল ভাউচারে রয়েছে নানাবিধ অসংগতি। যাতে করে সরকারের লক্ষাধিকেরই বেশী টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অথচ অর্থের অভাবে অফিসের নিয়মিত কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারিরা।
এব্যাপারে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাবেদুল হক (অঃদাঃ)‘র মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কুতুবদিয়া মৎস্য অফিসে কপিল উদ্দিন নামের কোন ঝাড়–দার নেই এবং আদৌ ছিলনা। ভুয়া বিলের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (অঃদাঃ) জিয়া উদ্দিনের সাথে কথা হলে ভুয়া বিলের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বিভিন্নভাবে এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।