বাংলাদেশের ভরসায় চট্টগ্রাম বন্দরের অদূরে ত্রিপুরার এসইজেড

বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা ত্রিপুরায় যাবেন—এমন প্রত্যাশা নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার সাবরুমে প্রায় ২৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড)। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাবরুমের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া সাবরুম এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের এই উদ্যোগ উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তার আগেই অবশ্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনা করতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বৈঠকে বসছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাবরুমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনেক কারণ রয়েছে। এখানে ভারতীয় রেলওয়ের গুদাম রয়েছে। ফেনী নদীর ওপর তৈরি হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সেতু, যার কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে। এখানে আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার জন্য যা দরকার, তার সবই এখানে রয়েছে বলে তার দাবি।

তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিশাল বাজার ধরা যাবে। বাংলাদেশ সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী। আমরা যদি সেখান থেকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারি, তাহলে ত্রিপুরার প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ত্রিপুরায় বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০১৮ সালে ভারতের ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ত্রিপুরায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার ছিল তার মধ্যে অন্যতম। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে যাতে নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয়, সে ব্যাপারে দেশটির কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!