ধর্ষণ মামলায় ৩১ বছর পর সাজা, দুই আসামির ১৪ বছর কারাদণ্ড

১৯৯১ সালের এক ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙামাটির বিশেষ টাইব্যুনাল আদালত নং-১।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রাঙামাটি বিশেষ টাইব্যুনাল আদালত নম্বর-১ এর বিচারক সহিদুল ইসলাম এই রায় দেন। রায়ে একইসঙ্গে দুজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং টাকা দেওয়ায় ব্যর্থ হলে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

আসামিরা হলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন বস্তি এলাকার মো. ইউসুফ ও লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মো. ছিদ্দিক মিয়া। এদের মধ্যে ছিদ্দিক মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ২০ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে একটি সাম্পানে করে রিজার্ভ বাজার থেকে চক্রপাড়া ফেরার পথে আরেকটি সাম্পান দিয়ে এসে পথ অবরোধ করে দুই আসামি। পরে কাপ্তাই হ্রদের মাঝেই সাম্পানের মধ্যে আসামিরা ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।

মামলার আদেশে আদালত বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের নারী নির্যাতন (নিবর্তক শাস্তি) অধ্যাদেশ এর ৪(গ) ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে ওই ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের আদেশ হল। সেই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদানের আদেশ হল। ব্যর্থতায় প্রত্যেককে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ হল।

কারাবাসে থাকা আসামি মো. ইউসুফকে সাজা পরোয়ানামূলে জেল হাজতে পাঠানো এবং পলাতক আসামি মো. ছিদ্দিক মিয়ার প্রতি সাজা উল্লেখে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি ছিদ্দিক মিয়া স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ বা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের তারিখ হতে সাজা কার্যকর হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক স্কুলছাত্রী নৌকায় করে স্কুল থেকে ফিরছিল। মাঝপথে দুই আসামি তাকে ধর্ষণ করে। এই মামলায় দুই আসামির ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। ভিকটিম ন্যায় বিচার পেয়েছে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!