ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ, অধ্যক্ষ বরখাস্ত চট্টগ্রামে

রামাদান নিয়ে কটাক্ষ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।

বরখাস্তের পর পৃথক আদেশে একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মর্জিনা খানমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ জানান, সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কী কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেটি আদেশে উল্লেখ আছে। এর বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

বন্দর কর্তৃপক্ষের আদেশে বলা হয়, ফেসবুকে পবিত্র রমজান মাসের আরবি উচ্চারণ ‘রামাদানকে’ কটাক্ষ করে পোস্ট দিয়েছেন সেলিনা আক্তার শেলী। সেই পোস্টের মন্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। পোস্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতর ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বন্দর এলাকায় মিছিল-সমাবেশসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ আরও বলছে, ফেসবুকে সেলিনা আক্তার শেলীর এই কর্মকাণ্ড ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারায় দণ্ডযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নীতিমালার ৬ (২) ও ১০ বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চাকুরি প্রবিধানমালা, ১৯৯১ এর ৩৯ (খ) মোতাবেক সুষ্পষ্ট অসদাচরণ ও গুরুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।

একই আদেশে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় সেলিনা আক্তার শেলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর পাশাপাশি সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!