তফসিল ঘোষণার পর যুবদল-ছাত্রদলের মশাল মিছিল, পুলিশের ধাওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল ঘোষণার পরই এর বিরুদ্ধে মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ের ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া আগ্রাবাদ এক্সেস রোডেও মহানগর ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

পাহাড়তলী নয়াবাজারে থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করেন। মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে চট্টেশ্বরী রোডে মশাল মিছিল করা হয়, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুর রহমান আলফাজের নেতৃত্বে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের মশাল মিছিল বের করে।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল ও মশাল মিছিলে পুলিশের হামলার তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই এক তরফা তফসিল ঘোষণার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। সরকারের একগুঁয়েমি দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের অবৈধ রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও বলেন, সরকারবিরোধী দল বাদ দিয়ে নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন হওয়া সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল বিএনপি, দেশপ্রেমিক জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপির মশাল মিছিলের পর নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় মহড়া চালিয়েছে পুলিশ। যদিও আগ্রাবাদে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কাউকে আটকের ঘটনা ঘটেনি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!