চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে লাশ ফেলে যায় সড়কে, স্বামী গ্রেপ্তার কুমিল্লায়

দু’মাস আগে প্রেম করে মামতো বোন আতিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন সোহানুর রহমান। কিন্তু পরকীয়া নিয়ে স্বামীকে সন্দেহ শুরু করে আতিয়া। সেই সন্দেহ করায় কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য, খুন হন স্বামীর হাতে। তাকে খুন করে ড্রামে লাশ লুকিয়ে রাখেন সোহানুর। পরে তিন বন্ধুর সহযোগিতায় সুযোগ বুঝে ড্রামভর্তি লাশ সড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যান।

কিন্তু পালিয়ে বাঁচতে পারেননি পুলিশের হাত থেকে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) কুমিল্লা থেকে সোহানুরকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বগুড়ার সারিয়াকান্দির বাসিন্দা। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তিন বন্ধুকেও।

ওই তিনজন হলেন মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আশিক ও অটোরিকশা চালক লিটন।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার কাটগড় মন্দিরের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহের উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে সোহানুরকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করেন আতিয়া। এরমধ্যে গত ১১ অক্টোবর ঝগড়া হলে সোহানুর স্ত্রী আতিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরদিন সকালে সোহানুর তার বন্ধু রুবেল ও আশিককে বাসায় ডেকে আনে। তাদের সহযোগিতায় মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে তার কর্মস্থল পতেঙ্গার একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুদামে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।

১৩ অক্টোবর রাতে গুদাম থেকে ড্রামভর্তি মরদেহ সিএনজি অটোরিকশায় তুলে পতেঙ্গা কালী মন্দির এলাকায় নিয়ে গিয়ে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এজন্য অটোরিকশা চালক লিটনকে তিন হাজার টাকা দেন। এরপর সোহানুর কুমিল্লা চলে যান।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নূর জানান, মামতো বোন আতিয়া আক্তারকে দু’মাস আগে বিয়ে করেছিলেন সোহানুর রহমান। স্ত্রীকে নিয়ে পতেঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। পরকীয়া সন্দেহে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ১১ অক্টোবর রাতে সোহানুর স্ত্রী আতিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!