চট্টগ্রামে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই করে পালানোর সময় ধরা পুলিশের এসআই

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই করে পালানোর সময় সোর্সসহ চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার এক এসআইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী পুলিশের এসআই হলেন আমিনুল ইসলাম। অপরজন তার সোর্স মো. জাহেদ।

লোহাগাড়ার সৌদিপ্রবাসী ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮টি স্বর্ণের বার নিয়ে ফেরার পথে টাইগারপাস এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাকে সিগন্যাল দেন এসআই আমিনুল ইসলাম। কোথা থেকে আসছি, জানতে চান তিনি। বিমানবন্দর থেকে আসার কথা শুনে পুলিশের সোর্স মো. জাহেদসহ আমাকে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেন। আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে গিয়ে সেখানে আমাকে নামিয়ে দিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় আমার কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেন তারা। দিশেহারা হয়ে অন্য সিএনজি চালক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে সাহায্য চাইলে তারা পুলিশসহ সোর্সকে আটক করতে সহযোগিতা করেন। পরে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ এসে তাদের আটক করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল খুলশী থানার আওতায় হওয়ায় আসামিদের সেই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে খুলশী থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেন।’

ওসি ফোন কল রিসিভ করছেন না বলে জানানোর পর তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনে মামলা হচ্ছে, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘ছিনতাইয়ের মামলা হবে।’

খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল বাশার বলেন, ‘আটক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি, তবে তা প্রক্রিয়াধীন।’

জানা গেছে, গত ৬ ছয় মাস আগে এসআই আমিনুল ইসলাম নগরীর চান্দগাঁও থেকে খুলশী থানায় বদলি হয়েছেন। তিনি ৩৩তম ব্যাচ ২০১২ সালে মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে চাকরিতে যোগ দেন।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!