চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হওয়া সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহর নামে করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন মামলার বাদি রনি আক্তার তানিয়া।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদি। সেদিন বিচারক তানিয়ার বক্তব্য শুনে আদেশের জন্য পরবর্তী তারিখ ৩০ অক্টোবর ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ।

বাদি রনি আক্তার তানিয়া বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামের মো. হাশেমের মেয়ে। তিনি নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করেন। এর আগে তিনি শহীদুল্লাহর ঘরে গৃহকর্মী ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

তবে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, রনি আক্তার তানিয়ার করা মিথ্যা মামলার বিষয়টি। তবে চান্দগাঁও এলাকার যেই কথিত যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের প্ররোচণায় এ মামলা করা হয়। জসিম এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শহিদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। সেই মামলার অন্য আসামিরা হলেন চান্দগাঁও থানার এএসআই মো. ইউসুফ আলী, এএসআই সোহেল রানা, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, শহীদুল্লাহর প্রতিবেশী এসএম আসাদুজ্জামান, কথিত যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দীন, মো. লিটন, রনি আক্তার তানিয়া ও কলি আক্তার।

সেদিন মামলা আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এছাড়া এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে চানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের উপকমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘থানা হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন। এ ঘটনায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য নেওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টায় চকবাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে চান্দগাঁও থানার চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় এএসআই ইউসুফ আলী ও সোহেল রানা সাদা পোশাকে এসে সাবেক দুদক কর্মকর্তা সৈয়দ মো. শহিদুল্লাহকে কলার ধরে টানাহেঁচড়ে থানায় নিয়ে যান।

এসময় মো. শহিদুল্লাহ সম্মানিত লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, আমাকে খবর পাঠালেই থানায় যেতাম।

কিন্তু পুলিশ সদস্যরা কোনো কথা না শুনে তাকে নিয়ে যান। এতে চরম অপমানিত হওয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!