চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়ালো, মৃত্যু ৬৮

চট্টগ্রামে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১৩৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ১০৫ জন।

এছাড়া চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৮ জন মারা গেছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো রোগী মারা যাননি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আক্রান্ত ১৩৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৩৪ জন, বিআইটিআইডিতে ৯ জন, জেনারেল হাসপাতালে ১০ জন, চট্টগ্রামের কম্বাইন মিলিটারি হাসপাতালে ১ জন, ডিভিশনাল পুলিশ হাসপাতালে ৮ জন ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭২ জন।

চট্টগ্রামে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ হাজার ৭৪০ জন রোগী, চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৬৫ জন।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্টার ডা. আবু সালেহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এই সময়টায় বর্ধিত ডেঙ্গু উপসর্গ রোগীর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে লিভার, কিডনী, ডায়াবেটিস রোগীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সারভাইভ করছে কম। অত্যন্ত সর্তর্কতার সাথে এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।

৫০ দিনে আক্রান্ত ৫৩২৯

চট্টগ্রামে গত দু’মাস ধরে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আগস্ট মাস এবং সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩২৯ জন। এর মধ্যে আগস্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১ জন ও সেপ্টেম্বর এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৩১৮ জন। আর আগস্টে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জন ও সেপ্টেম্বরে ১৫ জনের।

এর আগে জুলাইতে আক্রান্ত ২ হাজার ৩১১ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। জুনে ২৮৩ জন আক্রান্ত ও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে কারও মৃত্যু না হলে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ২২ জন, ১২ জন, ১৮ জন এবং ৫৩ জন।

এদিকে এই বছরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গত তিন বছরের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২০ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ জন, তবে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ২০২১ সালে ২৭১ জন আক্রান্ত হয়েছিল আর মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৪৪৫ জন, মারা গিয়েছিলেন ৪১ জন।

কিন্তু সেই হিসেবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত ৮ হাজার ১০৫ জন। গত বছরের চেয়ে যা দেড় গুণ বেশি। অথচ এখনও তিন মাস বাকি আছে বছর শেষ হতে। চলতি বছরে মৃত্যুর হারও বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। চলতি বছরের এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৮ জন।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!