চট্টগ্রামে চড়া দামে স্যালাইন বিক্রি, কোনো ‘অনিয়ম’ ধরা পড়েনি ৩ সংস্থার অভিযানে

চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর থেকে ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগে সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দামে স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে বেশকিছু ফার্মেসি। গায়ের দাম থেকে কয়েকগুণ বেশি দামে এসব স্যালাইন বিক্রি হতেও দেখা গেছে। কিন্তু ওষুধ বিক্রেতাদের এমন অনিয়ম চোখে পড়েনি সরকারি তিন সংস্থার অভিযানে। শেষে স্যালাইন বিক্রিতে কোনো ধরনের ‘অনিয়ম’ নেই বলে জানায় তারা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফার্মেসিগুলোতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোনো অনিয়ম মিলেনি বলে জানায় তারা।

অভিযান শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযানে এসেছি। বেশ কয়েকটি দোকানে স্যালাইনের মজুদ ও দাম যাচাই করেছি। স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে স্যালাইন বিক্রি করা হচ্ছে।  

চড়া দামে স্যালাইন বিক্রি নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, স্যালাইন বিক্রিতে অনিয়ম নেই সেটা বলা যাবে না। বিক্রেতারা গ্রাহকদের বিক্রয় রশিদ দেন না। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত দামে স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। বিক্রেতাদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যদি তা করা না হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযান চলাকালীন মো. মাসুম নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ জানিয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন, অভিযানের এক ঘণ্টা আগেও আমি এক লিটারের একটি ডিএনএস স্যালাইন ২৮০ টাকায় কিনেছি। কিন্তু অভিযান চলার সময় গায়ের দামে রাখা হয়েছে।

অন্য এক ক্রেতা জানান, মেডিকেলের পূর্ব গেট থেকে মেইন গেট পর্যন্ত সব দোকানে স্যালাইন খুঁজেও পেলাম না। এখন সরকারি কর্তারা বলছেন, স্যালাইন সরবরাহ স্বাভাবিক, কোথাও কোনো অনিয়ম নেই। এর আগর দোকানদাররা বলেন, সাপ্লাই নেই, তাই দাম বেশি।’ আমাদের দেশের ব্যবসায়িরা মানুষ বেশি মারা গেলে কাফনের দামও বাড়িয়ে নিবেন বলে।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!