চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলেন আরও ৫, শনাক্ত ২৮৭

প্রাণঘাতী মহামারি করোনায় চট্টগ্রামে আরও ৫ জনের প্রাণ গেল। যদিও সংখ্যাটি আগের দিনের তুলনায় কম। একই সময়ে চট্টগ্রামে কমেছে করোনা শনাক্তও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮৭ জনের। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৩৬ জন নগরের বাসিন্দা এবং ৫১ জন বিভিন্ন উপজেলার। এদিন চট্টগ্রামের অন্যতম করোনা পরীক্ষাগার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ হাজার ৮৬১ জন। এদের মধ্যে নগরের ৩৮ হাজার ৪২৪ জন এবং ৯ হাজার ৪৩৭ জন উপজেলার। শনাক্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৭৭ জন। এদের মধ্যে ৩৫৫ জনই নগরের, বাকি ১২২ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭টি ল্যাবে এক হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় দিনের সর্বোচ্চ ৮১ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ৪৭ জন নগরের এবং ৩৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ আসে ৫৩ জনের শরীরে। এদের ৪৬ জনই নগরের, বাকি ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব ২০৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনার জীবাণু ধরা পড়ে ৩৯ জনের দেহে। এদের ৩৩ জনই নগরের, বাকি ২ জন উপজেলার।

এছাড়া নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জন করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৩ জনই নগরের, ২ জন উপজেলার।

শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৩০ জন নগরের, ১ জন উপজেলার রোগী।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জন করোনা শনাক্ত হয়। এদের সবাই নগরের বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জনই নগরের, বাকি ১ জন উপজেলার।

এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলায় শনাক্ত ৫১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ফটিকছড়ি উপজেলার। সেখানে ১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া হাটহাজারীতে ১২ জন, রাউজানে ৬ জন, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ে ৫ জন করে, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হয়।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!