হিলভিউ আবাসিকে বিক্রি হচ্ছিল গরুর পচা মাংস

দিনভর অভিযানে ৫০ মামলায় জরিমানা ৬০ হাজার

বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির মাঝেও চট্টগ্রাম নগরে অব্যাহত ছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। দিনভর অভিযানে ৫০টি মামলায় ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি টিম পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন।

নগরীর কোতোয়ালি, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। অভিযানকালে তিনি একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকানকে ১ হাজার, দুইটি সেলুনকে ৮০০ ও একটি টেলিকমের দোকানকে ৩০০ টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে, পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৩টি পৃথক মামলায় ১ হাজার, একটি বেকারিকে ১ হাজার, হিলভিউ আবাসিক এলাকায় গরুর পচা মাংস বিক্রি করায় এক দোকানীকে ৫ হাজার টাকা এবং সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সেলুন, টেইলার্স, হার্ডওয়ার ও কাপড়ের দোকান খোলা রাখায় ৭টি মামলায় ৭ জনকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন।

তিনি জানান, জুমার নামাজে মসজিদে যেন জনসমাগম না হয় সেজন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিং করা হয় এবং জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদের ৫টি গেট বন্ধ করা হয়।

নগরীর বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা থানাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান। তিনি বন্দর এলাকায় একটি টাইলসের দোকানকে ৫ হাজার, একটি টেইলার্সকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করায় নেভি হাসপাতাল গেট এলাকায় ২ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করেন।

নগরীর আকবরশাহ, পাহাড়তলী, হালিশহর এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর। অভিযান পরিচালনা শেষে তিনি জানান, ৭টি ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ৮ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি এক ডাক্তার দম্পতির অভিযোগে পাহাড়তলী থানার বাচা মিয়া রোড এলাকায় অত্যুৎসাহী এলাকাবাসীর দেওয়া লকডাউন সরিয়ে ফেলা হয়।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান চান্দগাঁও, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৩টি মামলায় ১৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেন। যৌক্তিক কারণ ছাড়া রিক্সা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ করেন। তাছাড়া দেওয়ানবাজার এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে মালিক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

অপরদিকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর চান্দগাঁও, চকবাজার ও বাকলিয়া থানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার। এসময় ৩টি মামলায় ২ হাজার জরিমানা করেন তিনি।

এছাড়া পাহাড়তলী এলাকায় সামাজিক দূরত্ব না মানায় এক মোটরবাইক চালককে ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুবকর সিদ্দিক।

পাঁচলাইশ, খুলশী, বায়েজিদ এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মামনূন আহমেদ অনীক ২টি মামলায় ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

সদরঘাট, কোতোয়ালী ও ডবলমুরিং থানায় ২টি মামলায় ৩ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন।

এছাড়াও বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ ২টি মামলায় ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!