চকরিয়ায় দুই বোনকে ধর্ষণ করে গাজীপুরে লুকিয়ে ছিল ধর্ষক, ধরা র্যাবের হাতে
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই বোন ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি আবু হাসান মো. ইব্রাহিম জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ইব্রাহিম জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫ এর একটি দল।
গ্রেপ্তার আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল (২৬) চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, ২০২১ সালের ২২ জুন রাতে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা তাদের মেয়েকে একা বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। ভিকটিম বাড়িতে একা হওয়ায় রাতে তার চাচাতো বোনকে এনে রাখে। ওইদিন রাতে বাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগে ইব্রাহিম জুয়েল দুই বোনকে কৌশলে ঘুমের বড়ি সেবন করায়। এরপর দুই বোন অজ্ঞান হয়ে পড়লে জুয়েল তাদের পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরদিন দুই বোন ঘটনাটি তাদের পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি চকরিয়া থানায় অবহিত করে। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ দুই বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পায় পুলিশ। এরপর ভিকটিমের পিতা আকতার হোছাইন বাদী হয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৪ জুন চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ধর্ষক আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল আত্মগোপনে ছিলেন।
পরে র্যাব-১৫ পলাতক আসামি জুয়েলকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। তবে জুয়েল বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে ধরা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে র্যাব নিশ্চিত হয়, আসামি গাজীপুরে অবস্থান করছে। এরপর ২২ মার্চ রাতে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জুয়েল ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান এএসপি মো. বিল্লাল উদ্দিন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশ চার্জশিটও দিয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে সে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব-১৫ এর একটি দল আসামি জুয়েলকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠনো হয়েছে বলে জানান ওসি।
ডিজে