ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টি, চট্টগ্রামে সড়কে জলাবদ্ধতা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাত থেকেই নগরীতে বৃষ্টি হচ্ছে।

এতে চকবাজার, বাকলিয়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে সড়ক। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওসব এলাকার বাসিন্দাদের।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, চকবাজারের বড় গ্যারেজ, বাদুরতলা, বাকলিয়ার কেবি আমান আলী রোড় ও ফুলতলা এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে।

এছাড়া নগরীর নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতায় ছুটির দিনে দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। ফলে ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।

স্থানীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা নগরীর দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও সিটি করপোরেশনকেই দুষছেন।

নগরীর দিদার মার্কেট এলাকার বাসিন্দা আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জরুরি কাজে চকবাজার থেকে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলাম। দেখি রাস্তায় হাটু সমান পানি। এর কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা এই ভোগান্তির অবসান চাই।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর নিজেদের নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান জেলার সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে অনলাইনে জরুরি সভা করেছেন। এতে ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় জেলার ৬০৯টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩টি) আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!