কাঠ পোড়ানোর অভিনব কৌশল ভেস্তে গেল ইউএনওর অভিযানে

গেল বছর বনের কাঠ দেদারছে পুড়েছিল ইটভাটায়। ওই সময় বিভিন্ন ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিল উপজেলা প্রশাসন।

এবারও এমনটা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ইটভাটার মালিকরা গ্রহন করেছে অভিনব কায়দা। তাইতো ইটভাটা সংলগ্ন মাঠ প্লাস্টিক দিয়ে ঘেরাও করে অভিনব কায়দায় কাঠ পুড়ানোর মহোৎসবে মেতেছিল তারা।

তবে তড়িৎকর্মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইটভাটার মালিকদের এ অপতৎপরতা রুখে দেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হাটহাজারী উপজেলার ১ নাম্বার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিমে পাহাড়ের পাশে শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে সরকারি আইন অমান্য করে গড়ে ওঠা ‘কেবিএম ইটভাটা’র পাশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

এ সময় প্লাস্টিক দিয়ে ঘেরাও করে রাখা ইটভাটায় পুড়ানোর জন্য রাখা কাঠ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ।

এ বিষয়ে কেবিএম ইটভাটার সাথে জড়িতদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে আদালত মালিকানাবিহীন প্রায় ৫ হাজার ৬শ ঘনফুট কাঠ জব্দ করেন বলে জানান ইউএনও।

তিনি আরও জানান, পরিবেশ রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিদ্যালয় ঘেঁষে স্থাপন করা উক্ত কেবিএম ইটভাটার পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র নেই এমনটা দাবি করে এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, কয়লার বদলে পাশ্ববর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ছোট-বড় গাছ কেটে ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করায় ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ।

অন্যদিকে উজাড় হচ্ছে বনজ সম্পদ এবং হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে জীববৈচিত্র।

এছাড়া বনাঞ্চল, পাহাড়, সংরক্ষিত এলাকা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষা এ ইটভাটা থেকে ছড়িয়ে পড়া ধুলাবালি ও কালো ধোঁয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগ ব্যাধিতে। ফলে উপজেলাধীন অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছে বিজ্ঞমহল।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!