কর্মী ছাঁটাই থেকে পিছু হটলো কেইপিজেডের সেই গার্মেন্টস

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে খবর প্রকাশের জের

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশের পর কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) ইনটিমেট এপারেলস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয় বিষয়টি। এরপর আমরা ইনটিমেট এপারেলস লিমিটেডের মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সাথে বসি। মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে, আইনত কোন বাধা না থাকলেও জাতীয় দুর্যোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। কারণ সরকার প্রণোদনা সুবিধা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে যদি কেই স্বেচ্ছায় চলে যেতে চায় তাদের আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।’

জানা গেছে, ২০ -২৫ জন শ্রমিক আর্থিক সুবিধা নিয়ে চাকরি ছাড়তে সম্মত হয়েছে। অবশিষ্ট সকল অস্থায়ী শ্রমিক প্রতিষ্ঠান খোলার পর কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ওই শ্রমিকরা নির্দিষ্ট তারিখে বেতন পাবে বলে বেপজাকে নিশ্চিত করেছে ইনটিমেট কর্তৃপক্ষ।

দেশের ৮টি ইপিজেডে পিপিই তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ও যেসব প্রতিষ্ঠানের জরুরি শিপমেন্ট আছে সেগুলো ছাড়া অন্যান্য সব কারখানা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেপজা। চট্টগ্রাম ইপিজেডে ১৫৮টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডে ৪১টি গার্মেন্টস ও লঞ্জারিজ প্রতিষ্ঠান আছে।

প্রসঙ্গত, ইনটিমেট এপারেলসে ৫ শতাধিক অস্থায়ী শ্রমিককে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে এপ্রিল থেকে তাদের চাকুরিতে যোগ দিতে নিষেধ করে বলেছিল, ‘করোনা পরিস্থিতিতে মালিকের কাজের অবস্থা ভালো নয়। লোকবল প্রয়োজন হলে তাদের আবার চাকুরিতে ডাকা হবে।’ বিষয়টি জানার পর চট্টগ্রাম প্রতিদিন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে ১১ এপ্রিল (শনিবার) তাদের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। কর্ণফুলী ইপিজেডের ভারপ্রাপ্ত মহা-ব্যবস্থাপক মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ বিষয়টি তদারকি করার কথা জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে। এরপর বেপজার হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা চাকরিতে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত হলো।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!